রোববার (২০ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৫৯টি উপজেলায় উপকারভোগীর হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেবেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। উপকারভোগীদের নামে জমির দলিল, নামজারি ও দাখিলা জমা এবং ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জমির কাগজপত্রসহ ঘরের চাবি উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে তার পক্ষে স্থানীয় প্রশাসন বাড়ির কাগজপত্র ও চাবি তুলে দেবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান। তারই অংশ হিসেবে ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে (স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে) বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা বাড়ি ও ব্যারাকে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও এক লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি-বাড়ি প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এভাবে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বাড়ি প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি পরিবারকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন। এছাড়া জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে বহুতল ভবনে একটি করে ফ্ল্যাট প্রদানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত চার হাজার ৪০৯টি পরিবারকে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।