পাঞ্জাবে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এর মধ্যে ওই ২৩ জনই সেই বৃদ্ধের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন। পাঞ্জাবে তিনিই প্রথম করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তি।
এনডিটিভি জানায়, ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধ গুরুদ্বারের পুরোহিতের কাজ করতেন। তিনি ইতালি ও জার্মানি থেকে ফিরেছিলেন ২ সপ্তাহের সফর শেষে। তার সঙ্গে ছিলেন পাশের গ্রামের দুই সঙ্গী। বিদেশ থেকে ফিরে কোয়ারান্টাইনের নিয়ম মানেননি তিনি। এ মাসের শুরুতে অনেকের সঙ্গেই তিনি মেলামেশা করেছেন। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
৬ মার্চ তিনি দিল্লিতে নামার পর গাড়িতে করে পাঞ্জাবে যান। এরপর ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত আনন্দপুর সাহিবে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তারপর শহিদ ভগৎ সিংহ নগর জেলায় নিজের বাড়িতে ফেরেন। প্রায় একশোজনের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। পরে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
পাঞ্জাব প্রশাসনের ধারণা, ওই বৃদ্ধ ও তার দুই সঙ্গী ১৫টি গ্রামে গিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তির পরিবারেও ১৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তার নাতি-নাতনিরাও বহু মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন, তাদের খোঁজ শুরু করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ১৫টি গ্রামও সিল করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীরা গ্রাম থেকে গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ অংশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।