কভিড-১৯ রোগের বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি শনিবার রাতে সর্বশেষ যে তথ্য হালনাগাদ করেছে, তাতে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দেখাচ্ছে ১০ হাজার ২৩ জন।
এই পর্যন্ত আর কোনো দেশেই মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়নি। ইতালিতে শনিবার ৮৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ রোগে।
ইতালির পরে স্পেনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যেখান থেকে এই মহামারীর শুরু হয়েছিল, সেই চীনের হুবেই প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ১৭৭ জনে রয়েছে।
চীনের পর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইরানে ২ হাজার ৫১৭ জন, তারপরে রয়েছে ফ্রান্স (১ হাজার ৯৯৫ জন)।
যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৯ জন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কেই ৫১৭ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস।
সবমিলিয়ে ১৭৭ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে নভেল করোনাভাইরাস মৃত্যু ঘটিয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের।
দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ১৯ জন মারা গেছে ভারতে। পাকিস্তানের মৃতের সংখ্যা ১২ এবং বাংলাদেশে ৫।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের একেবারে শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। অন্য প্রদেশগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার পর ভিন্ন দেশেও ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়।
শুরুতে চীনে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকলেও মাস দুয়েকের মধ্যে তারা পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নিতে পেরেছে।
চীনের পর প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়া এবং এরপর ইতালি ও স্পেনে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। কোরিয়া পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলেও ইউরোপকে বিপর্যস্ত করে সংক্রমণের কেন্দ্র এখন হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আক্রান্তের সংখ্যায় এখন সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; দেশটিতে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৬৮ জন কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ইতালি; একদিনে আট হাজার রোগী বেড়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৯২ হাজার ৪৭২।
চীনে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৯৯ জন। স্পেনে আক্রান্ত এখন ৭২ হাজার ২৪৮ জন। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ হাজার জন, ইরানে ৩৫ হাজার ৪০৮ জন।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ও ১৭ হাজার জন।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এখন পাকিস্তানে ১৫০০ জন। ভারতে ৯১৮ ও বাংলাদেশে ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।
সবমিলিয়ে বিশ্বে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪০ হাজার জন, এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার জন।