কেন এভাবে নগদে টাকা জমানোর পরিমাণ বাড়ছে, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বা আর্থিক উপদেষ্টাদের কাছে এখনো তেমন ব্যাখ্যা নেই।
তবে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছরে দেখা গেছে, সঞ্চয়ের পরিমাণ কমেছে। গত বছরের মার্চ-এপ্রিলে করোনা ধাক্কায় লকডাউন জারি হয়। রুটিরুজি নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে মানুষ সাবধানতাবশত বেশি করে সঞ্চয় করতে শুরু করেন। লকডাউনের জেরে বাজারহাট বন্ধ থাকায়, অপ্রয়োজনীয় খরচ না হওয়ার ফলেও তা বেড়েছিল। তারপর লকডাউন উঠলে খরচ হয়েছে। সর্বোপরি মানুষের আয় কমে যাওয়ার ফলেও সঞ্চয়ে টান পড়েছে। কিন্তু নগদে টাকা রাখার প্রবণতা কেন বাড়ছে, তার স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। তা হলে নোট বাতিল করে লাভ কী হয়েছিল, জবাব নেই তারও।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের মানুষের মোট সম্পদের মধ্যে এখন নগদের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৪৭ লাখ কোটি রুপি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, পিপিএফ ও স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার হ্রাস পাওয়ায় করোনার মধ্যে অনেক মানুষ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। তাঁরা অবশ্যই আয়ের দিক থেকে ওপরের সারিতে থাকা মানুষ। সেই তুলনায় নিচের সারিতে থাকা আমজনতা বা দারিদ্র্যসীমা থেকে উঠে আসা মানুষই সম্ভবত নগদে বেশি টাকা জমাচ্ছেন।
মোদি সরকার ক্ষমতায় এসে সবার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে উদ্যোগী হয়। এখন গরিব মানুষ কেন ব্যাংকে টাকা না রেখে বাড়িতে নগদ জমাচ্ছেন, তারও উত্তর নেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।