রোববার (২৭ জুন) ফিলিপাইনের গণমাধ্যম ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দেশটির অ্যান্টি–মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) গত শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, তালিকা থেকে বাদ হওয়ার জন্য ফিলিপাইনকে ১৮টি কর্মসূচি নিতে হবে।
এফএটিএফের এই ‘গ্রে তালিকায়’ হাইতি, দক্ষিণ সুদান ও মাল্টাও রয়েছে। এ তালিকায় মোট ২২টি দেশকে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এফএটিএফ হলো একটি আন্তসরকার সংগঠন। এটি জি-৭–এর উদ্যোগে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে কাজ করে আসছে।
এফএটিএফ এ বছর ঘানাকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তবে সংস্থাটির কালো তালিকায় এখনো পরিবর্তন হয়নি। এ তালিকায় এখনো ইরান ও উত্তর কোরিয়া অন্তর্ভুক্ত আছে।
ফিলিপাইনকে প্রথম ২০০০ সালে এফএটিএফ ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। পরে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন এবং সে অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ২০০৫ সালে ফিলিপাইন এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ২০১২ সালেও একবার এফএটিএফের কালো তালিকায় যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে ফিলিপাইন। তবে নানা নীতিমালা গ্রহণ করে তা কাটাতে সক্ষম হয় তারা।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরায় হ্যাকাররা। উত্তর কোরিয়া ভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ দ্য লাজারাস ওই অর্থ সরাতে ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করে। ওই ঘটনার পর এফএটিএফের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় পড়ে ফিলিপাইন। পরে বিশ্বের ১৭টি দেশ বা অঞ্চল থেকে ফিলিপাইনের প্রবাসী শ্রমিকেরা নিজ দেশের কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে পারবেন না, এমন নির্দেশনা দেয় দেশটির সরকার।