ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক খায়রুল দাযামি দাউদ জানান, ৩০ জুন (বুধবার) বেলা ১১টায় পুলিশ, শ্রম বিভাগ, মালয়েশিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স এবং জাতীয় নিবন্ধকরণ বিভাগের (জেপিএন) ৯০ জন ইমিগ্রেশন অফিসার এবং ৩৫ জন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক বিবৃতিতে মহাপরিচালক বলেছেন, কারখানাটি কেবল চলমান আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ আদেশের (এমসিও) অধীন এসওপিগুলো লঙ্ঘন করেছিল না, অনিবন্ধিত বিদেশি কর্মীদের ব্যবহার করে আইন ভঙ্গ করেছে বলেও সত্যতা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় ৯৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৮৮ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন পাকিস্তানি, পাঁচ জন মিয়ানমার, তিন জন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন নেপালিসহ মোট ২৯৯ বিদেশি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানকালে এমন কিছু বিদেশি ছিলেন যারা পালিয়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
মহাপরিচালক খায়রুল দাযামি দাউদ জানান, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া লকডাউন না মানায় কারখানায় পুলিশ ১০ হাজার এবং শ্রম বিভাগ ২০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা করেছে।
এদিকে গত ৬, ২১ ও ২৯ জুন অভিবাসন বিভাগের বড় তিনটি অভিযানে ৭০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর মধ্যে ১৮২ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।