প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোর ৩ টার দিকে ঘটা ওই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বিমানবন্দর টার্মিনাল।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, যে কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে ফোম ও প্লাস্টিক সামগ্রী প্রস্তুত করা হতো। সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের বেশ কাছেই সেই কারখানাটির অবস্থান। দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্যাংককের ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরপরই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এবং তাদের চেষ্টায় আগুন ইতোমধ্যে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
থাইল্যান্ডের টিপিবিএস টিভি জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ধাক্কায় কারখানা সংলগ্ন বাসভবনগুলোর দরজা-জানালার কাচ ও কংক্রিটের অংশ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সড়কে। গোটা এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। আশপাশের কয়েকটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্য আনোয়ুত ফোমপাই টিপিবিএসকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ফলে এ পর্যন্ত ১১ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করে আনোয়ুত বলেন, ‘আমরা তল্লাশি অব্যাহত রেখেছি, কিন্তু কারখানা ও তার আশপাশের কয়েকটি ভবনে এখনও আগুন জ্বলছে। এ কারণে আমাদের উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণের পর থেকেই কারখানাটি থেকে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হওয়া শুরু করেছে। ফলে পরবর্তীতে আরও বিস্ফোরণ হতে পারে এই শঙ্কায় ওই এলাকার সব বাসিন্দাদের স্থানীয় স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে বিস্ফোরণের ফলে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি টার্মিনাল কেঁপে উঠেছিল এবং পুরো টার্মিনাল জুড়ে সতর্ক এলার্ম বেজে উঠেছিল।
তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কোনো ফ্লাইটও স্থগিত করা হয়নি।
সূত্র: এপি, হিন্দুস্তান টাইমস