গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনা বিভাগে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে এক হাজার ৪৭০ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। খুলনা বিভাগে একদিনে শনাক্ত ও মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ২৬৫ জনের, যার মধ্যে খুলনা জেলাতেই ৩১৩ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গতকাল সন্ধ্যায় পরীক্ষামূলকভাবে ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৭৭ দশমিক ০২ শতাংশ। এরমধ্যে খুলনার ৫৬টি নমুনায় শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জন। শনাক্তের হার ৮২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, এই নমুনাগুলো জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর, তাই শনাক্তের হার একটু বেশি।
আজ সোমবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৪৭০ জন, যা গতকাল রোববার ছিল এক হাজার ৩০৪ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ১৩, বাগেরহাটে দুই, যশোরে ছয় মাগুরায় এক, ঝিনাইদহে পাঁচ, কুষ্টিয়ায় ১৭, চুয়াডাঙ্গায় দুই এবং মেহেরপুরে পাঁচজনসহ মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬২ হাজার ৩৪ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬৫ জনে। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪০ হাজার ৫৫৩ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভাগে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে ৩১৩ জন, তারপর কুষ্টিয়ায় ২৬২ জন এবং যশোরে ১৭৫ জন, ছোট জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ১০০ এবং মেহেরপুরে ৬২ জন।
খুলনা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৩৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৬২৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩১৩ জন এবং সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৫১২ জন।
বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২১ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো তিন হাজার ৮৯৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন এবং সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৭১৯ জন।
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৭৪০ জন এবং মারা গেছে ৭৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ৭২১ জন।
যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৮৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫২১ জন। এ সময় মারা গেছে ১৭৫ জন এবং সুস্থ হয়েছে সাত হাজার ৪৭০ জন।
নড়াইলে এ সময়ে শনাক্ত ৭০। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৩৩ জন। মারা গেছে ৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ১০৬ জন।
মাগুরায় শনাক্ত ৩৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৩৪ জন। এ সময় মারা গেছে ৩০ জন এবং সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৩২৮ জন।
ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৮৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ৭৯০ জন। মারা গেছে ১০৭ জন এবং সুস্থ হয়েছে তিন হাজার ৯৯ জন।
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৯২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে আট হাজার ৭৬৫ জন। মারা গেছে ২৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৪ জন।
চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৫২ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৮০৫ জন। মারা গেছে ১০০ জন এবং সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৩৪৬ জন।
মেহেরপুর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ১২৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৩৩৮ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গতকাল সন্ধ্যায় পরীক্ষামূলকভাবে ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৭৭ দশমিক ০২ শতাংশ। এরমধ্যে খুলনার ৫৬টি নমুনায় শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জন। শনাক্তের হার ৮২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, এই নমুনাগুলো জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর, তাই শনাক্তের হার একটু বেশি।
আজ সোমবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৪৭০ জন, যা গতকাল রোববার ছিল এক হাজার ৩০৪ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ১৩, বাগেরহাটে দুই, যশোরে ছয় মাগুরায় এক, ঝিনাইদহে পাঁচ, কুষ্টিয়ায় ১৭, চুয়াডাঙ্গায় দুই এবং মেহেরপুরে পাঁচজনসহ মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬২ হাজার ৩৪ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬৫ জনে। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪০ হাজার ৫৫৩ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভাগে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে ৩১৩ জন, তারপর কুষ্টিয়ায় ২৬২ জন এবং যশোরে ১৭৫ জন, ছোট জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ১০০ এবং মেহেরপুরে ৬২ জন।
খুলনা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৩৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৬২৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩১৩ জন এবং সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৫১২ জন।
বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২১ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো তিন হাজার ৮৯৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন এবং সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৭১৯ জন।
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৭৪০ জন এবং মারা গেছে ৭৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ৭২১ জন।
যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৮৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫২১ জন। এ সময় মারা গেছে ১৭৫ জন এবং সুস্থ হয়েছে সাত হাজার ৪৭০ জন।
নড়াইলে এ সময়ে শনাক্ত ৭০। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৩৩ জন। মারা গেছে ৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ১০৬ জন।
মাগুরায় শনাক্ত ৩৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৭৩৪ জন। এ সময় মারা গেছে ৩০ জন এবং সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৩২৮ জন।
ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৮৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ৭৯০ জন। মারা গেছে ১০৭ জন এবং সুস্থ হয়েছে তিন হাজার ৯৯ জন।
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৯২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে আট হাজার ৭৬৫ জন। মারা গেছে ২৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৪ জন।
চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৫২ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৮০৫ জন। মারা গেছে ১০০ জন এবং সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৩৪৬ জন।
মেহেরপুর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ১২৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬২ জন এবং সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৩৩৮ জন।
