সোমবার (৫ জুলাই) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণের অনুমোদন নিতে ব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরিত আবেদন পত্রের সঙ্গে পরিমার্জিত ‘পরিশিষ্ট-ক’ অনুযায়ী আটটি তথ্য দাখিল করতে হবে।
এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংকের নাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, ভ্রমণের প্রস্তাবিত সময় (যাতায়াত সময়সহ), পর্ষদের অনুমোদনের তারিখ, দেশের বাইরে অবস্থানকালীন ঠিকানা (একাধিক দেশ হলে প্রত্যেক দেশের নাম, সম্ভাব্য অবস্থানের মেয়াদ) এবং সর্বশেষ কখন, কতদিনের জন্য এবং কী উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণ করা হয়েছে তার তথ্য।
এর আগে, গত বছরের ২৩ মার্চ অনুমতি ছাড়া এমডিদের বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাফতরিক কাজে কিংবা ব্যক্তিগত ছুটিতে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকাণ্ডে সার্বিক গতিশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাগত ঝুঁকিসহ আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে— যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণ আবশ্যকীয় হলে দেশের বাইরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করা হলো।