সোমবার (৫ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
জানা যায়, আগের নিয়মেই শিক্ষকদের জন্য ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা ও জুন মাসের বেতনের সরকারি আদেশ (জিও) জারি হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই চেক ব্যাংকে পাঠাতে পারবে মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে, লকডাউনের কারণে কিছুটা দেরিও হতে পারে।
২০০৪ সাল থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতনের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। এরপর থেকেই শিক্ষকরা মূল বেতনে শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি শিক্ষকদের মতো চিকিৎসা ভাতা ও বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। এসব দাবি জানিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সরকারের ঊর্ধ্বতনদের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। শিক্ষকরা এ দাবিতে রাস্তায় আন্দোলনেও নেমেছেন।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, এটি সরকারের উচ্চমহলের সিদ্ধান্ত। আমাদের কাছে শতভাগ বোনাস বাস্তবায়নের কোন নির্দেশনা আসেনি।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি গণমাধ্যমে বলেন, সামনেই ঈদুল আজহা। শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিদ্যমান বোনাস বৈষম্য নিরসন করতে হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা পান ২৫ শতাংশ। এছাড়া সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেসব মৌলিক বৈষম্য রয়েছে তার নিরসনের ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমরা আবেদন পাঠিয়েছি। শিক্ষায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখনও চরম বৈষম্যমূলক, গতানুগতিক নানা ধারায় বিভাজিত।