সোমবার (৫ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইপিবি এদিন সেবা খাতের কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। তবে এক বছরে পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ভালো হলেও ২০২০-২১ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে তা ২৩৪ কোটি ডলার কম।
রপ্তানির মধ্যে অন্যতম খাত পোশাক। এ খাত থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ৭৯৫ কোটি ডলার। আর সদ্য বিদায়ী ২০২০–২১ অর্থবছরে হয়েছে ৩ হাজার ১৪৬ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পোশাক খাতের মধ্যে নিটে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ আর ওভেনে হয়েছে ৩ শতাংশের একটু বেশি।
সদ্য বিদায়ী ২০২০–২১ অর্থবছরে পোশাক খাতের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১৪৬ কোটি ডলারের। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পোশাক খাতের মধ্যে নিটে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ আর ওভেনে হয়েছে ৩ শতাংশের একটু বেশি।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু পোশাক নয়, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হোম টেক্সটাইলের রপ্তানিও ভালো হয়েছে এবার। যেমন পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৬ কোটি ডলার। আর হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ ৭৬ কোটি ডলার থেকে রপ্তানি বেড়ে হয়েছে ১১৩ কোটি ডলার।
কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে ১৯ শতাংশের বেশি। এদিকে অর্থের পরিমাণ কম হলেও হস্তশিল্প রপ্তানি বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। এ ছাড়া গ্লাসওয়্যার ১২৭, পরচুলা ৭৬, ইলেকট্রিক পণ্য ৭১, কার্পেট ৫৯, বাইসাইকেল ৫৮, রাবার ৩০, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১৮, প্লাস্টিক পণ্য ১৫ এবং বিশেষায়িত টেক্সটাইলের ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
পরিমাণে কম হলেও রপ্তানি সবচেয়ে কমেছে জীবন্ত মাছের। কমার হার ৪৫ শতাংশ। ১ কোটি ১৪ লাখ ডলারের জীবন্ত মাছ রপ্তানি হয়েছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে। এবার হয়েছে ৬৩ লাখ ডলার। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রী ২৯, সিমেন্ট ও লবণ ২১, সবজি ২০, কাগজ ও কাগজজাতীয় পণ্য ৮ ও টেরি টাওয়েলে রপ্তানি কমেছে ৫ শতাংশ।