৩৫ মিনিটে পাকুয়েতার একমাত্র গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। প্রথমার্ধে কতৃত্ব বজায় রেখে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে পেরু আক্রমণ করে বেশ কয়েকবার। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পায়নি দলটি। সিলভা-মার্কুইনহসে গড়া ব্রাজিলের ডিফেন্স ছিল দুর্দান্ত। গোলবারের সামনে এডারসন ছিলেন দূর্গ হয়ে। তিনি বেশ কয়েকবার রক্ষা করেছেন ব্রাজিলকে।
ব্রাজিল শট নেয় ১২টি আর পেরু ৫টি। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন নেইমাররা। ম্যাচের ৫৫ শতাংশ বল ছিল তাদের পায়ে। নেইমারের হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরষ্কার।
৬১ মিনিটে আবারো ব্রাজিলের ত্রাণকর্তা হয়ে এলেন গোলরক্ষক এডারসন। তবে এবার অসাধারণ ভূমিকা ছিল মার্কুইনহসের। গার্সিয়ার শট এডারসন পুরোপুরি আয়ত্বে নিতে পারেননি। ভলি দিয়ে ফেলে রুখে দেওয়ার পর বল আসে ডি বক্সের মাঝে; পেরুর কাউকে আক্রমণের সুযোগ না দিয়ে ক্লিয়ার করেন মার্কুইনহস।
৫৬ মিনিটে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইওশিমার ইউতুন। এটি চলতি ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড।
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে দ্রুতগতির কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে যেতে পারতো পেরু। ডি বক্সে থকা লাপাদুলা বল পেয়ে ডান পায়ে কোনাকুনি শট নিয়েছিলেন বাম দিকে। কিন্তু দূর্গ হয়ে দাঁড়ান ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যাডারসন। ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্রাজিলকে রক্ষা করেন তিনি।
প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ব্রাজিল। বল দখলের লড়াই হতে শুরু করে আক্রমণ সব দিকে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। নেইমারদের আক্রমণে বিপর্যস্ত ছিল পেরুর ডিফেন্স। ৫৪ শতাংশ সময় বল ছিল সেলেসাওদের পায়ে। অন্যদিকে ব্রাজিলের ১১টি শটের বিপরীতে পেরুর শট ছিল মাত্র ১টি!
৩৫ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পেলো ব্রাজিল। নেইমারের সহায়তায় পাকুয়েতা লক্ষ্যভেদ করেন পেরুর জালে। বাঁ দিক থেকে পেরুর দুজন ফুটবলারকে পরাস্ত করে ডি বক্সের মাঝে থাকা পাকুয়েতার দিকে বল বাড়ান নেইমার। গোলরক্ষককে কোনো সুযোগ না দিয়ে সেলেসাওদের এগিয়ে দেন পাকুয়েতা।
১৯ মিনিটে আবারো পেরুকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক গ্যালেস। ক্যাসিমিরো থেকে পাকুয়েতা-নেইমার হয়ে বল আসে রিচার্লিসনের কাছে। কিন্তু তার শট রুখে দেন গ্যালেস।
১৫ মিনিটে সুযোগ পেয়েও সোজাসুজি গোলরক্ষকের হাতে মারেন এভারটন। রিচার্লিসন থেকে ডান পাশে বল পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
৮ মিনিটেই এগিয়ে যেতো পারতো ব্রাজিল। পাকুয়েতার ক্রস ডি বক্সে থাকা রিচার্লিসনের পা হয়ে আসে নেইমারের কাছে। কিন্তু সেলেসাও তারকা গোলবারের ডানদিকে ভুল জায়গায় শট নেন।