বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী জুনে বেকারত্বের হার ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। বিভিন্ন খাতে এখনো ৯৩ লাখেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে। তবে নতুন কর্মীদের আগ্রহী করতে ম্যাকডোনাল্ডস ও চিপটলের মতো কোম্পানিগুলো তাদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছে। জুনে প্রতি ঘণ্টায় গড় উপার্জন শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পানশালা, রেস্তোরাঁ, খুচরা ও শিক্ষায় নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। শিক্ষায় ২ লাখ ৩০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। পোশাক এবং পণ্যদ্রব্য স্টোরগুলোর শক্তিশালী বৃদ্ধিসহ ৬৭ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
দেশটিতে ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা পেয়েছে। যার কারণে ব্যবসায় এবং মাস্ক ব্যবহারের আদেশের উপর মহামারি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মে মাসে যা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। যদিও জুনে যুক্ত হওয়া অর্ধেকেরও বেশি চাকরি অবসর এবং আতিথেয়তায় খাতে হয়েছে। অর্থাৎ এতে নতুনভাবে ৩ লাখ ৪৩ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনো করোনা–পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে পারেনি এই দুই খাত।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, ‘এই পরিসংখ্যানকে আমাদের অর্থনীতিকে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সংকট থেকে বের করে আনার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অগ্রগতি বলা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা এখন পর্যন্ত তিন কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি, যা আগে কেউ করে দেখাতে পারেনি। আধুনিক ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি।’
বিশ্লেষকেরাও বলছেন, কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান নির্দেশ করছে যে পুনরুদ্ধার ভালো হচ্ছে।