এতে আশাবাদী হয়ে ওঠা স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঞ্চা গনজালেস বলেছেন, এই তথ্য এটাই নির্দেশ করছে যে ভাইরাস সংক্রমণের যে গতিচিত্র, তা নিচে নেমেছে।
গোটা দেশে লকডাউন অবস্থা ঘোষণা দেওয়ার পর স্পেনে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। এখন দেশটিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দুই সপ্তাহ কারও ঘর থেকে বের না হওয়ার কড়া নির্দেশনা রয়েছে।
নতুন ৬ হাজার ৪০০ জনকে নিয়ে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ১৯৫। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ঘটেছে ৮১২ জনের, যা মৃতের সংখ্যাকে ৭ হাজার ৩৪০ জনে উন্নীত করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারীতে স্পেনের চেয়েও বিপর্যন্ত ইতালিতে সোমবার ১ হাজার ৬৪৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে রোগী বৃদ্ধির এই সংখ্যাও গত কয়েকদিনে সর্বনিম্ন।
পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে ১ হাজার ৫৯০ জন রোগমুক্ত হয়েছেন, যা একদিনের হিসাবে এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা। দেশটিতে মোট সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬২০ জন। অন্যদিকে স্পেনে মোট সেরে উঠেছেন ১৬ হাজারের বেশি রোগী।
তবে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৯১ জনে। মৃতের সংখ্যা ৮১২ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৯১ জনে।
আক্রান্তের সংখ্যায় এখন ইতালির উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; দেশটিতে কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৮ জন ছাড়িয়েছে।
সোমবার নাগাদ বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাইসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯১ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ২১১। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৭ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনের পর রয়েছে চীন, যে দেশটিতে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। চীনে মোট আক্রান্ত ৮২ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৩০৪ জন। দেশটিতে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৬৪ হাজার জন জার্মানিতে হলেও দেশটিতে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম। দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে এই পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৬০ জন। তবে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭৫১ জন বেড়েছে।
ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে, দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে ২২ হাজার ৪৪৪ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে মারা গেছে ১ হাজার ৪০৮ জন।
মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৪৯৫ জনে, মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৫৭ জন।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৭৫ হয়েছে, মারা গেছে ২৪ জন। ভারতে মৃতের সংখ্যা এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩২ জন হলেও আক্রান্ত ১ হাজার ২৫১ জন।