কোনো ওষুধ ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) সোমবার ক্লোরোকুইন ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের বিষয়ে এই অনুমোদন দেয়।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দুটি ওষুধ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রাখে বলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ধারণা, যদিও কোভিড-১৯ নিরাময়ে এসব ওষুধের কার্যকরিতা নিয়ে এখনও তেমন কোনো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ এখনও মেলেনি।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে দেড় লাখ মানুষ, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো টিকা তৈরি করা যায়নি। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধও এখনও তৈরি হয়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচএইচএস) বিভাগ বলেছে, কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ওষুধ হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে উপশম দিতে পারে।
এফডিএ শর্ত দিয়েছে, কোনো হাসপাতাল ওই দুটি ওষুধ ব্যবহার করতে চাইলে কেবল সরকারি মজুদ থেকে সরবরাহ করা ওষুধই রোগীদের দিতে পারবে।
ওষুধ কোম্পানি বায়ার ও নোভার্টিস অনুদান হিসেবে ওই ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দিয়েছে।
নোভার্টিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস নরসিমান রোববার বলেছিলেন, কোরানাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা তাদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে খুবই আশাবাদী।