এই দাম বাড়ার আগে জুন মাসে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। ফলে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়। অবশ্য বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম যে হারে কমে, দেশের বাজারে কমে তার থেকে অনেক কম হারে।
সর্বশেষ গত ১৯ জুন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়। তবে বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম কমে তাতে বাজুস চাইলে ভরিতে স্বর্ণের দাম চার হাজার টাকা পর্যন্ত কমাতে পারতো।
বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয় ২০ জুন থেকে। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৭১ হাজার ৯৬৭ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৬৮ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৪৯ হাজার ৫৪৬ টাকা। বর্তমানে এ দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ২৭ ডলার বা ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮০৮ দশমিক ১১ ডলারে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে সর্বশেষ যখন স্বর্ণের দাম কমানো হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৭৬৪ দশমিক ২১ ডলার। সে হিসাবে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৯০ ডলার।
এদিকে স্বর্ণের মতো আর এক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০৪ ডলারে। অপরদিকে রুপার দাম ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ২৬ দশমিক শূন্য ৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।