আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি কোয়ারেন্টাইন ভঙ্গ করে এবং তার জন্য অন্যরা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তাহলে কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘনকারীর সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হবে।
শুধু তাই নয়, ভুয়া খবর ছড়ালেও নেয়া হবে কঠিন ব্যবস্থা। নতুন আইনে বলা হয়, বাড়িতে অবস্থানরত সুস্থ ব্যক্তিরা বাড়ি থেকে বের হয়ে আদেশ লঙ্ঘন করলে এবং করোনা সম্পর্কিত ভুয়া খবর ছড়িয়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হবে।
এছাড়া এই আইনের বলে সরকার প্রয়োজনবোধে যেটা উপযুক্ত মনে করবে, সেই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নতুন আইনের বিষয়ে ডুমার স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ ভলোদিন বলেন, মহামারি প্রতিরোধ ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমাদের প্রিয়জনদের স্বাস্থ্য ও জীবনের সুরক্ষায় এমন আইন করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ফেব্রুয়ারি থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া। এরই অংশ হিসেবে চীনের সঙ্গে তার দীর্ঘ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয় এবং প্রাথমিক সন্দেহজনকদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তবে লোকজনের মধ্যে কোনো আশঙ্কা দেখা যাচ্ছিল না। তারা স্বাভাবিক জীবনের মতো রেস্তোরাঁ, পার্ক ও ক্যাফেতে আড্ডা জমাতে শুরু করে।