সম্প্রতি ইয়ং-এর উদ্যোগে আয়োজিত "কীভাবে বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ তৈরি করা যায়" শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এই কথা বলেন। ওয়েবিনারে লেখকরা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির পাশাপাশি একটি সফল স্টার্টআপ গড়ে তোলার পেছনের মূল উপাদানগুলি নিয়ে আলোচনা করেন।
ওয়েবিনারে কয়েকশ উদ্যোক্তা যোগদান করেন। এই সময় লেখকরা কোনো স্টার্টআপের শুরু ও সাফল্যের পেছনে ছয়টি বিষয়ের উপর জোর দেন।
* একটি টিম তৈরি করা।
* একটি পণ্য তৈরি করা।
* পেটেন্টের মাধ্যমে মালিকানা রক্ষা করা।
* দেশীয় এবং বৈশ্বিক ব্যবহারকারীদের জন্য বিপণন।
* ফান্ডিং পাবার কৌশল এবং
* এক্সিট'কৌশল।
সফল স্টার্ট আপগুলি কীভাবে এই ছয়টি মূল বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করে তাও তারা পর্যবেক্ষণ করে বাস্তব উদাহরণের সন্নিবেশে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য দিক নির্দেশনার উদাহরণ হিসেবে বইটির কথা তুলে ধরেন আলোচকরা।
"স্টার্টআপ কিংডম" সম্পর্কে আনিসউজ্জামান বলেন, "আমি প্রতিবছর শত শত স্টার্টআপের সংগে কথা বলি ও দিক নির্দেশনা দেই। আমি তাদের সফলতা ও ব্যর্থতা দেখেছি এবং এই বইয়ে সেসব অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেছি। আমি নিজেই বেশকিছু স্টার্টআপ গড়ে তুলেছি এবং অবশ্যই আমার সফলতা ও ব্যর্থতা থেকেও শিখতে পেরেছি।
ভিসিপিএবির সভাপতি ও 'স্টার্টআপ কিংডম-এর সহ লেখক শামীম আহসান বলেন, স্টার্টআপ কিংডম বইটি উদ্যোক্তাদের নিজস্ব ব্যবসায় পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং সহজ ও দ্রুততম উপায়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক কৌশল গ্রহণে সহায়তার জন্য লেখা হয়েছে। আমরা লেখকরা ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারী হিসেবে আমাদের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেছি এবং দক্ষিণ এশিয়া ও গ্লোবাল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য একটি বিস্তৃত হ্যান্ডবুক হিসেবে রূপ দেবার চেষ্টা করেছি।
ইয়ং-এর প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন বাপ্পি বলেন, আমরা তরুণদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে একটি উদ্ভাবনী সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে কাজ করছি। আমরা আমাদের তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করছি যেন তারা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে এবং 'স্টার্টআপ কিংডম' তাদের জন্য একটি দিক নির্দেশক হতে পারে।"