এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৯ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনে।
শনিবার (১৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় ২২৬ জনের। বুধবার ২১০ জন মারা যান। মঙ্গলবার ২০৩, সোমবার ২২০ ও রোববার রেকর্ড ২৩০ জন মারা যান। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে একদিন মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮২০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ২১৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৮২ জন। এছাড়া খুলনায় ৪৯, চট্টগ্রামে ৩২, রাজশাহীতে ২০, বরিশালে ৫, সিলেটে ২, রংপুরে ১০ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২৫ জন পুরুষ এবং ৭৯ জন নারী। এদের মধ্যে ২ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ২৯১ জন এবং নারী ৫ হাজার ৩৭৮ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে এক জনের বয়স ৯১ বছরের বেশি। এছাড়া ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১৫, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৩৫, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৫১, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৫ জন রয়েছেন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৫ জন রয়েছেন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।