বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে চীনে। ন্যাশনাল হেলথ কাউন্সিলের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চীনে ৮৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৬২ জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর নতুন শনাক্ত ১২৪ জনের মধ্যে ৮০ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। এ ছাড়া নতুন সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৮ জনের শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। এর আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৫৪।
এদিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও নতুন করে কেউ মারা যায়নি চীনে। দেশটির সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত মারা গেছেন চার হাজারের বেশি করোনা রোগী। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজারের বেশি।
সম্প্রতি চীনের ১৬টি প্রদেশ ও মিউনিসিপ্যাল এলাকায় করোনা ছড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে জিয়ানসু প্রদেশে। এই প্রদেশে আজ সকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন। এর আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৪০।
চীনে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নতুন করে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেসব এলাকার অধিকাংশ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সর্বশেষ হুবেই প্রদেশের উহান শহরের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রদেশে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই টিকাদানের হার আরও বাড়াতে প্রাদেশিক প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৬০ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সরকার চাইছে বছর শেষে দেশের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ যেন করোনার টিকা পান।