সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে প্লাইমাউথ শহরের কিহ্যাম এলাকায় এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সশস্ত্র পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
শুক্রবার ভোরে এক বিবৃতিতে ডেভন ও কর্ণওয়েল পুলিশ জানায়, বন্দুক হামলার কারণে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষ। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তৃতীয় আরেক নারী মারা যান।
পুলিশের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঘটনাস্থলে আরও একজন পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনিই হামলাকারী বলে আমরা ধারণা করছি। নিহতদের সবাই বন্দুকের গুলিতেই মারা যান।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত কোনো ঘটনা বলে মনে করে না ডেভন ও কর্ণওয়েল পুলিশ।’
এদিকে লুক পোলার্ড নামে স্থানীয় একজন আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অল্পবয়সী একজন তরুণীও রয়েছেন। হামলার এই ঘটনাকে তিনি ‘অবর্ণনীয় ভয়ঙ্কর’ বলেও আখ্যায়িত করেন।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে বন্দুকের মালিকানা নীতি অনেক কঠোর এবং সারা বিশ্বের মধ্যে দেশটিতে বন্দুক হামলা ও এ সংক্রান্ত সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা খুবই কম। দেশটিতে এ ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনাও খুবই বিরল।