সোমবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলব, এটা স্টিল প্রিম্যাচিউরড। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন রাষ্ট্রপতি শপথ না নিচ্ছেন; যতক্ষণ পর্যন্ত একজন রাজা পারমানেন্টলি না আসবে অর্থাৎ তাদের সংবিধান অনুযায়ী চার বা পাঁচ বছরের সরকারের মেন্ডেট নিয়ে কেউ না আসা পর্যন্ত আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাতে পারি না। এটা ঠিকও হবে না।’
আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর রোববার রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান। তালেবানের কাবুলে প্রবেশের পর দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এর মধ্য দিয়ে তালেবানের হাতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের পতন নিশ্চিত হয়েছে। এখন আফগানিস্তানে সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তালেবান।
আফগানিস্তানে থাকা বাংলাদেশিদের প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে তিন বাংলাদেশিকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আরও সাত বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। এরচেয়ে বেশি তথ্য আমরা এখন প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। যদিও ভাতৃপ্রতিম ওই রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। আমরা চাই আফগানিস্তানের জনগণের জানমালের ক্ষতি না হোক। সেখানে সক্রিয় সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির প্রতি এটাই বাংলাদেশের আহ্বান।’
উগ্রপন্থার উত্থান ঠেকাতে বাংলাদেশ সতর্ক আছে জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভয়ের কিছু নেই। তবে আমরা সতর্ক আছি, এখানে উগ্রপন্থার উত্থান ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে। আমরা এতে অত্যন্ত সফল হয়েছি, বিশেষ করে হলি আর্টিজানের ঘটনার পর।’