সোমবার (১৬ আগস্ট) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চীন স্বাধীনভাবে আফগান জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকারকে সম্মান করে। আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে ইচ্ছুক।
অবশ্য চীন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরলে স্বীকৃতি দেবে তারা। গত ২৮ জুলাই চীনে গিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল তালেবানের নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও উপ-প্রধান মোল্লা আব্দুল গানি বারাদার, যিনি আফগানিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ওয়াং ই সে সময় তালেবানকে ‘আফগানিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যারা ‘দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে শান্তি, পুনর্মিলন ও পুনর্গঠনে বড় ভূমিকার রাখবে’। পাশাপাশি, তালেবানকে একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, গত রোববার তালেবান কাবুল দখলে নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো নিজেদের লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নিতে কাজ করছে। এমনকি দূতাবাস বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেকে। তবে সেই পথে হাঁটছে না চীন ও রাশিয়া। তারা জানিয়েছে, দূতাবাস বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই তাদের।