উপজেলা বিটিসিএল তথ্য মতে, আমতলী উপজেলায় ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) টেলিফোন সংযোগের উদ্বোধন করে। পরবর্তীতে দুই যুগ পরে বিটিটিবি পূর্ণগঠিত হয়। নামকরণ করা হয় বিটিসিএল। উপজেলায় ৮০০ গ্রাহক বিটিসিএল সেবার আওতায় থাকলেও সেবা নিত ৪০০ গ্রাহক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিটিসিএল গ্রাহকের সংখ্যা ২১৯ কাগজে কলমে, বাস্তবতায় চালু রয়েছে ১০০ সংযোগ।
এদিকে বিটিসিএল কর্মকর্তাদের দিকে আঙ্গুল তুলছে অতিষ্ট গ্রাহকরা। তারা দাবি করছেন, একাধিকবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বলা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেননি। আবার অনেক গ্রাহক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ পেলেও বিল থেকে রক্ষা পায়নি। বাধ্য হয়ে দিচ্ছেন নিয়মিত বিল। এমন সেবায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধিকাংশ গ্রাহক।
বিটিসিএল গ্রাহক মো. কবির উদ্দিন বলেন, ‘টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ৫ বছর পার হলেও বিল দিতে হচ্ছে নিয়মিত। প্রত্যেক মাসে আমার নামে বিল আসে। কোন সুরহা না পেয়ে বাধ্য হয়ে ১৭৩ টাকা বিল পরিশোধ করতে হয়।’
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) আমতলী উপজেলা স্টেশন ম্যানেজার কাজি বদর উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহকরা সেবা না নিতে চাইলে সহকারী ব্যবস্থাপকের নিকট লিখিত জানাতে হবে।
সংযোগ না থাকলেও বিল আসে এমন সমস্যার সমাধানে তিনি বলেন, গ্রাহক স্যারেন্ডার করলে তার নিকট আর বিল যাবে না। অন্যথায় সরকারী হিসাবে প্রতি মাসের বিল বাবদ তার নামে ১৭৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে বরগুনা বিটিসিএলের সহকারী প্রকৌশলী খন্দকার ফিরোজ আলম জানান, ‘গ্রাহকের আবেদনের ভিত্তিতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আমরা প্রস্তুত।’