গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বেইজিং পৌর জনগণের সরকারের যৌথ উদ্যেগে, এই বছর চীন আন্তর্জাতিক সেবা বাণিজ্য মেলা ২ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেইজিংয়ে অবস্থিত চায়না ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার এবং শৌগাং ইন্ডাস্ট্রি সার্ভিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর মেলার প্রতিপাদ্য হলো- ডিজিটাল ভবিষ্যতের সূচনা করে সেবার উন্নয়ন ত্বরানিত করা।
বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ মিশন ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম এবং কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন উদ্ভাবনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তারা বাংলাদেশের দুটি প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করে বলেন, এই মেলাতে অংশগ্রহণের ফলে চীনে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি হবে। চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরো বাড়বে। পণ্য আমদানি ও রফতানিতে ভারসাম্য রক্ষা হবে। বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন গুলোতে প্রদর্শিত হয়েছে- পাটজাত হস্ত শিল্পের আকর্ষণীয় পণ্ , চামড়ার তৈরি ব্যাগ, কাপড় এবং মেয়েদের অলংকারসহ অন্যান্য সামগ্রী। মেলাতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি চীনা নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আগ্রহ দেখা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশি স্টলগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
চীন কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে চলতি বছর নির্ধারিত ইভেন্টটি আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে ব্যাপক সম্প্রসারণ এবং বৃদ্ধির সুযোগ ভাগ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। বিশ্ব বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সর্বশেষ পরিষেবা গুলো প্রদর্শনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।
বাংলাদেশ, জার্মান, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, ফিলিপাইন, আর্জেন্টিনা, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফ্রিকানসহ অন্যান্য দেশ মেলাতে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও হুয়াওয়ে, ক্যানন, ইপসন, জেডিসহ অন্যান্য বড় কোম্পানি গুলোও এই মেলাতে যোগ দেয়।