ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান গণমাধ্যমে জানান, দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে তারা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
তিনি জানান, ফেরত আসা বাংলাদেশিদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানি দেয়া হয়।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে ভিজিট ভিসায় তারা প্রথমে দুবাই যান। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া হয়ে তিউনিসিয়া যান তারা। সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
ফেরত আসা ৩০ জনের মধ্যে শরীয়তপুরের ৭, মাদারীপুরের ৬, গোপালগঞ্জের ৪, টাঙ্গাইলের ৩, ফরিদপুরের ২, কিশোরগঞ্জের ২, সিলেটের ২, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকার ১ জন করে রয়েছেন।
গত ১৯ আগস্ট ১৩ জন, ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ ৭ বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন। আরও অনেক বাংলাদেশি ফেরত আসার অপেক্ষায় আছেন বলেও জানা গেছে।
ব্র্যাক বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশিদের এভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট সময়ে অন্তত পাঁচ হাজার ২৭৮ জন বাংলাদেশি এভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন।
গত এক যুগে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারই গেছেন ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে অবৈধভাবে বিপজ্জনক পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে কমপক্ষে ১৭ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারায়।
এছাড়া চলতি বছরের ২৪ জুন ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয় ২৬৪ বাংলাদেশিসহ ২৬৭ অভিবাসন প্রত্যাশীকে। বাকী তিন জন ছিলেন মিসরীয় নাগরিক। তাদের উদ্ধারের পর লিবিয়া সীমান্তের কাছে তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বেন গুয়েরদান বন্দরে নিয়ে যায় দেশটির নৌবাহিনী। এরপর তাদের আইওএম ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়।