শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেডের গ্রীন কারখানায় ‘টেকসই ব্যবসায় উন্নয়নে সবুজ কারখানার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা ও কারখানা পরিদর্শনে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন এক্সক্লুসিভ ক্যান ও কিউ পেইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসির।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের ফ্যাকাল্টি মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার উপ-নগর সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
এক্সক্লুসিভ ক্যান ও কিউ পেইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসির বলেন, টেকসই উন্নয়ন করতে গেলে সবুজ শিল্পায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ব্যবসায়িক দিক দেখলেই হবে না। পরিবেশের কথাও ভাবতে হবে। তিনি ব্যাকওয়ার্ড শিল্পে শুল্ক কমানোর বিষয়ে বলেন, যারা বিভিন্ন কম্পানিতে পণ্য সরবরাহ করেন। যা একসময় কর শূন্য শতাংশ ছিল তা এখন ৭ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এই ব্যাকওয়ার্ড শিল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা, মূল কোম্পানিগুলো এখন নিজেরাই সেসব পণ্য উৎপাদন করতে পারে।
সবুজ কারখানা কতটা প্রয়োজন তা তুলে ধরে ঢাকা স্কুল অফ ইকোনোমিকসের শিক্ষক আমানুল্লাহ আমান বলেন, অপরিকল্পিত শিল্পকারখানা গড়ে তোলার ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, যার ফলে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। যা মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। জীবনকে করে তুলছে অতিষ্ট। তাই নিজেদের বাঁচাতে, পরিবেশকে বাঁচাতে সবুজ কারখানা করা তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
সাহানোয়ার সাইদ শাহীন বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য সারা বিশ্বই সবুজায়ন ও সবুজ ব্যবসায় ঝুকছে। তবে বাংলাদেশে সবুজ কারখানা সম্প্রসারণে অর্থায়ন ও নীতি বাধা থাকার কারনে উদ্যোক্তারা প্রতিবন্ধকতা বেশি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ২০১১ সালে গ্রীন ব্যাংকিং নীতিমালা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু সেটির কার্যত খুব বেশি সম্প্রসারণ হয়নি। ক্রেতাদের চাপের কারনে তৈরি পোশাক খাতের কিছু উদ্যোক্তা সবুজ কারখানা করলেও অনান্য খাতে এটি সম্প্রসারণ হচ্ছে না।