শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদদ সম্মেলন করে অনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দেয় এয়ারলাইন্সটি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশর আরব প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হাইথাম গোবাসি বলেন, আমাদের মিশর সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। কায়রোর বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনা টেস্টের জন্য আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে। এছাড়াও গোটা দেশের সবার ভ্যাকসিন দেওয়া রয়েছে। হোটেলগুলো ৫০ শতাংশ অতিথি নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সবমিলে একজন পর্যটক খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ইজিপ্টে ঘুরতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইজিপ্ট এয়াজের ফ্লাইট শুরু করা একটি বিশেষ মাইলফলক। ঢাকা ও কায়রোর মধ্যে ইজিপ্ট এয়ারের সরাসরি ফ্লাইট শুরুর মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের জন্য বিশাল সুযোগের দ্বার উন্মোচিত হবে, বিশেষ করে যারা মিশর, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা ভ্রমণ করতে আগ্রহী।
এছাড়াও এয়ারলাইন্সটির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা ও কার্গো পরিবহনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। মিশরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবেন এবং পর্যটকরা মিশরের বহুমুখী পর্যটনের সুবিধা ভোগ করবেন।
মিশরকে আধুনিক সভ্যতার সুতিকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিশর এবং ইজিপ্ট এয়ার মিশরীয় আতিথেয়তা উপভোগ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরিদর্শনের জন্য দেশটি ভ্রমণে বাংলাদেশি যাত্রী ও পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইজিপ্ট এয়াজের বাংলাদেশ জিএসএ অ্যালো ঢাকা এভিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও ও পরিচালক সৈয়দ আলী সামী এবং প্রতিষ্ঠানটির সিওও ফরহাদ হােসেন।
সৈয়দ আলী সামী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও ভবিষ্যতে আমরা সপ্তাহে ৭ দিনই ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছি।
ইজিপ্ট এয়ার বর্তমানে ৬৯টি আধুনিক উড়োজাহাজের একটি বহর নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং আমেরিকার ৮০ টির বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।