সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ’ এ অনুষ্ঠিত হয় ‘ওয়ালটন ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সামিট - ২০২১’। এতে চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) বাংলাদেশ থেকে ১’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) গোলাম মুর্শেদ।
এ সময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সামিটে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, মো. হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিট (আইবিইউ) এর প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান ও আমিন খান, ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফিরোজ আলম, ওয়ালটন টিভি’র চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন, রেফ্রিজারেটরের সিবিও প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, এয়ার কন্ডিশনারের সিবিও তানভীর রহমান, ওয়ালটন আইবিইউ শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ, সাঈদ আল ইমরান প্রমূখ।
সামিটে জানানো হয়, ওয়ালটনের অন্যতম লক্ষ্য এখন বিশ্বের সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠা। সেজন্য ওয়ালটন নির্ধারণ করেছে ‘ভিশন- গো গ্লোবাল ২০৩০’। এই লক্ষ্য অর্জনে রপ্তানি সম্প্রসারণের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন, চলতি অর্থবছরে ১’শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির টার্গেট, বাজার সম্প্রসারণে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ইত্যাদি নির্ধারণে এই সামিটের উদ্যোগ নেয় ওয়ালটন আইবিইউ শাখা।
ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি ও বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করায় সম্মেলনে আইবিইউ টিমকে অভিনন্দন জানান ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার মিলে ওয়ালটন পণ্যের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। যা কিনা আগামী ৯ বছরের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে। তার দৃঢ় প্রত্যাশা- আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
সম্মেলনে আইবিইউ শাখার প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম ‘ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ইনিশিয়েটিভ ফর ২০২১’ পেশ করেন। এর আওতায় ওয়ালটনের ‘ভিশন- গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন ও চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানান।
কিম বলেন, ২০১৮ ও ১৯ সালে ছিলো ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি পরিমাণ ছিলো এক মিলিয়ন ডলারেরও কম। কিন্তু ২০২০ সালে ওয়ালটনের রপ্তানি পরিমাণ বেড়ে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপের ৯টি দেশসহ ১৪টি দেশে ওয়ালটন পণ্যের নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টি হয়েছে। সেরা গেøাবাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠার ভিশন অর্জনের লক্ষ্যে আইবিইউ টিম বিশ্ববাজারে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস ভলিউম বাড়ানোর উপর দিয়েছে অধিক গুরুত্ব।