১৩ থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনব্যাপী ইয়ুথ ক্যাম্পটি চায়না সং ছিং লিং ফাউন্ডেশন এবং এসকে গ্রুপের যৌথ স্পন্সরে, ফরেন অ্যাফেয়ার্স অফিস অব চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল পিপল’স গভর্নমেন্ট এবং চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল পিপল'স এসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিস যৌথভাবে আয়োজন করে।
ইয়ুথ ক্যাম্পটির উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠান চিয়াংশি প্রদেশের রাজধানী নানছাং শহরে অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে ইয়ুথ ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। চিয়াংশি প্রদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আটজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
[caption id="attachment_84144" align="alignnone" width="800"] ছবি: সংগৃহীত[/caption]
উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল পিপল’স এসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট টু আনব, চায়না সং ছিং লিং ফাউন্ডেশন এর ভাইস চেয়ারম্যান চিং তোনছোআন, চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল ফেডারেশন অফ ইন্ডাস্ট্রি এন্ড কমার্স এর চেয়ারম্যান লেই ইউআনচিয়াং সহ আরো অনেকে।
ইয়ুথ ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অতনু শুভম রায় বলেন, এই ইয়ুথ ক্যাম্পের মাধ্যমে চীনের লাল বিপ্লবের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছি। পাঁচদিন ব্যাপী এই ক্যাম্পে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে। তরুণরা বিশ্বের ভবিষ্যৎ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের মূল শক্তি। এই ইয়ুথ ক্যাম্পে বিশ্বব্যাপী তরুণদের টেকসই উন্নয়নে অংশগ্রহণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
[caption id="attachment_84145" align="alignnone" width="800"] ছবি: সংগৃহীত[/caption]
চিয়াংশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাজেদুল হক বলেন, চীনের চিয়াংশি প্রদেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এই ইয়ুথ ক্যাম্পের মাধ্যমে চায়নার ‘গ্রীন ডেভলপমেন্ট’, ‘দারিদ্র্য বিমোচন এবংগ্রামীণ উন্নয়নের অর্জন’, এবং ‘রেড কালচার’ এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য এশিয়ার অন্য দেশে পৌঁছে দেওয়া। কারণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দেশগুলি ভৌগোলিকভাবে চীনের কাছাকাছি রয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। এখানে আমরা তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছি এবং আমার খুব ভালো লেগেছে।
ইয়ুথ ক্যাম্পে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, রাশিয়া, জর্ডান, ইয়ামেন, পাকিস্তান, কাজাখস্তান এবং চীন থেকে ৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।