শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় এ কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, কারফিউ দিলে তো সেনাবাহিনীই নামবে। সেনাবাহিনী তো মাঠে আছেই, র্যা ব-পুলিশ-বিজিবিও মাঠে। তারা একদিক দিয়ে টহল দিয়ে যাচ্ছে আরেক দিক দিয়ে মানুষ বের হচ্ছে। তাহলে এখন কী করা? আমার মতে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় স্বেচ্ছাসেবকের হাতে লাঠি দিয়ে মানুষকে ঘরে ফেরাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজকে অনুরোধ করে বলছি আমি কিন্তু লোক নামিয়েছিলাম। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের কয়েকটা এলাকায় লাঠি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেছে তারা। কিন্তু দুই একটা মিডিয়া লিখে দিল লাঠি হাতে যুবকরা মহিলাদের বাড়ির সামনে হৈ চৈ করছে। তাহলে কী দাঁড়ালো কাজ করতে গেলেও সমস্যা, না করলেও সমস্যা।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তাহলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, পঞ্চায়েতকে নিয়ে এলাকায় এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা ৮-১০ জন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে টিম করে মাঠে নামাবো। কমিটিতে যারা থাকবে তাদের একটা আইডি কার্ড প্রশাসনের কাছে থাকবে। তাদের কাজ শুধু পাড়া মহল্লায় মানুষকে ঘর থেকে বের হতে বারণ করা। বের হলে যে কোনো উপায়ে তাকে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া। এছাড়া মানুষকে ঘরে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, সরকারি সাহায্য আসছে সেটা সরকারি লোকজন বিতরণ করছে। আমি আমারটা করছি। কারণ সরকারি সাহায্যের বাইরেও আমার সাহায্য দেয়ার ক্ষমতা আছে। আমি করছি। কারণ এখনই পরীক্ষা দেয়ার সময়। বিপদে পড়লে মানুষ যদি আমাকে কাছে না পায় তাহলে কিসের জন্য কার জন্য রাজনীতি করি।
খাবার নিয়ে মানুষকে চিন্তা না করার অনুরোধ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমরা দুই ভাই (শামীম ওসমান-সেলিম ওসমান) যদি মানুষের কাছে হাত পাতি, নিজেরা তো দিবোই, আরও ৫-১০ কোটি টাকা মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়া কোনো ব্যাপারই না। এই টাকা দিয়ে আমরা মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াইয়া রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।