শনিবার (১১ এপ্রিল) নৌবাহিনীর সদস্যরা দিনব্যাপী এসকল কার্যক্রম পরিচালনা করে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও খুলনার দ্বায়িত্বপূর্ণ সমুদ্র ও উপকূলীয় জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, বরগুনা, আমতলী, বেতাগী, বামনা, পাথরঘাঁটা, তালতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় এ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে নৌবাহিনী।
প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে লকডাউন মেনে চলা ও প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে লোকসমাগম বন্ধ রাখতে নৌসদস্যরা কঠোরভাবে স্থানীয় জনগনকে নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছে। সেই সাথে এলাকার মসজিদ মন্দিরসহ বিভিন্ন উপাসনালয়গুলোতে যেন অতিরিক্ত জনসমাবেশ না হয় তা কঠোরভাবে মনিটরিং করছে নৌসদস্যরা।
তারা স্থানীয় হাট-বাজার ও দোকান গুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা রাখা নিশ্চিত করাসহ এসব স্থানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে স্থানীয়দের সচেতন ও বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছে। তাছাড়া স্থানীয় রাস্তা-ঘাট, যানবাহন গুলো জীবাণুমুক্ত রাখতে নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক ঔষধ ছেটানো হচ্ছে।
নৌসদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং মানুষকে ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মাইকিং করা ও বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করছে। এছাড়া নৌসদস্যরা উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসমাগম পরিহার করে স্থানীয় গরীব, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবাণুনাশক সাবান ও মাস্ক, চাল, ডাল, আলুসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে।
স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নৌবাহিনী এ দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে নৌকর্তৃপক্ষ।