ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়। এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চাঁদপুর সদরের রামপুর এলাকায় এসে মারা যান তিনি।
ওই ব্যক্তি গত ২৬ মার্চ তার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। তারপর কিছুটা সুস্থ হলে তিনি ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এর মধ্যে আবারও তার সর্দি, জ্বর ও কাশি দেখা দেয়। তার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে রাতে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা পলিন, মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ ফয়সালের নেতৃত্বে আট সদস্যদের একটি প্রশিক্ষিত দল সেখানে যান। তারা মৃতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে নির্ধারিত নিয়ম মেনে দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে করোনার উপসর্গ থাকা আরও তিনজন রোগী চিহ্নিত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং একজনকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।