যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, রোববার আরও ৭৩৭ জনের মৃত্যু ঘটায় কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬১২ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনে ৫ হাজার ২৮৮ জন বেড়ে ৮৪ হাজার ২৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এই মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারে গিয়ে ঠেকবে বলে খোদ যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারাই মনে করছেন।
তবে তাদের কিছুটা আশাবাদী করছে গত কয়েকদিনের মৃত্যুর সংখ্যা স্থিতিশীল থাকা। গত ১০ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ৯৮০ জনের মৃত্যুর পর দুই দিন তার নিচে থাকছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা লকডাউন কাজে দিচ্ছে বলে মনে করা হলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এখনও শেষ কথা বলার সময় আসেনি।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যবাসীর জন্য সুখবর হচ্ছে, তাদের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের হাসপাতাল ছাড়তে পারার ঘটনাটি। করনোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।
মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাজ্য এখন বিশ্বে পঞ্চম হলেও আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হারে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
যুক্তরাজ্যে আক্রান্তদের ১২ দশমিক ৪ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে, এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হার শুধু ইতালির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বেলজিয়ামে আক্রান্তদের মধ্যে ১১ দশমিক ৯ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে।
যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যু যে গতিতে বাড়ছে।যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যু যে গতিতে বাড়ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৬ লাখ, মৃত্যু ৯৫ হাজার
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাজ্যের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকা ফ্রান্সে পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটেছে।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে, যা আগের দিনের অর্ধেক। ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৯৩ জন।
ফ্রান্সে আইসিইউতে থাকা করোনাভাইরাসের রোগীর সংখ্যাও কমেছে, যা দেশটির জন্য সুখবর বয়ে আনলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখনও সতর্ক।
মৃতের সংখ্যায় ফ্রান্সের ঠিক উপরে রয়েছে স্পেন, ১৬ হাজার ৯৭২টি মৃত্যু নিয়ে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৬৬ হাজার ছাড়ালেও পরিস্থিতি আর অবনতির দিকে যায়নি।
মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে পরিস্থিতির ক্রমোন্নতি হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৪৩১ জনের মৃত্যু হলেও এই সংখ্যাটি গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এক দিনের হিসাবে সর্বনিম্ন। ইতালিতেও আইসিইউতে থাকার রোগীর সংখ্যা কমছে।
করোনাভাইরাসে ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮৯৯, আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৩ জন।
ইতালিকে ছাড়িয়ে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যাও সাড়ে ৫ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাত নাগাদ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ২৭ হাজার, আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১ লাথ ১৩ হাজার।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৫। পাকিস্তানে ৫ হাজার ১৮৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছে ৮৮ জন।
বাংলাদেশে একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৯ জন বেড়েছে, মৃতের সংখ্যা চার জন বেড়ে ৩৪ জন হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২১।