ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম, ফিনান্স বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা, স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের পরিচালক (স্টাডিজ) ওয়াজিদ হাসান শাহ্।
সেমিনারে বলা হয়- বিদ্যমান গবেষণা থেকে আমরা জানতে পারি যে, কোভিড-১৯ মহামারি একটি দেশের শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। উন্নয়নশীল এবং উন্নত অর্থনীতির উপর মহামারীর প্রভাবের পার্থক্য হতে পারে যেহেতু রোগের বিস্তার, সরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং ভ্যাকসিন সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা ভিন্ন। এই গবেষণাপত্রটিতে স্টক মার্কেট রিটার্নে কোভিড-১৯ এর প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উন্নত দেশগুলোতে কতটা ভিন্ন, তা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই গবেষণায় ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ১১ জুন, ২০২০ পর্যন্ত উন্নত এবং উন্নয়নশীল ৭৭টি দেশের একটি প্যানেল ডেটা সেট তৈরি করে দেখা যায় যে, কোভিডে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা স্টক রিটার্নের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত। দেশ ও সময়/ তারিখ-এর জন্য নিয়ন্ত্রণ করে (after controlling for country and date fixed effects) উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে কোন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
আলোচনায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা বলেন, স্টক মার্কেটে যেকোনো তথ্যের সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের সাথে তিনি একমত পোষণ করে বলেন যে, কোভিডের প্রথম ৩ মাসে বিনিয়োগকারীদের ওভার রিএকশনের (over reaction) জন্য স্টক রিটার্ন কমে যায়। পরবর্তীতে অর্থনৈতিক মন্দা (economic recession) ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি নীতিমালা ও প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান করা হয় যেগুলো স্টক রিটার্নের ইতিবাচকভাব বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।
অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল বিস্ময়কর মনে হলেও স্টক মার্কেট যেহেতু একটি রিয়েক্টিভ মার্কেট (reactive market), তাই কোভিডে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যার সাথে স্টক রিটার্নের ইতিবাচকভাব সম্পর্ক দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীদের বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ না থাকায় অনেকেই এই সময় স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেছেন এবং তাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার আস্থা পাওয়ায় সেই ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা বিরাজমান।
অতিথিগণের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ওয়াজিদ হাসান শাহ্ সেমিনারটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সেমিনারে বিআইসিএম এর অনুষদ সদস্যবৃন্দ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।