রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
সংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা আরো জানিয়েছে, একটি নতুন কোম্পানি ও একটি নতুন ব্যাটারি কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গাড়ি নির্মাতার ধাতব ব্যবসার সহযোগী প্রতিষ্ঠান টয়োটা তুশোর সঙ্গে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন ব্যাটারি কারখানায় ২০৩১ সালের মধ্যে ১২৯ কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আগামী ২০২৫ সালে কারখানাটি উৎপাদনে যাবে বলে লক্ষ্য টয়োটার। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৭৫০টি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ তহবিলগুলো টয়োটার সেপ্টেম্বরে ঘোষিত ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনার অংশ। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ব্যাটারি ও ব্যাটারি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ অর্থ বিনিয়োগ করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা ব্যাটারিতে ব্যবহার করা উপকরণ ও কোষগুলোর কাঠামো তৈরির পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে সংস্থাটির লক্ষ্য ব্যাটারির দাম ৩০ শতাংশ বা তারও বেশি কমিয়ে আনা। নতুন কোম্পানি প্রাথমিকভাবে হাইব্রিড যানবাহনের ব্যাটারি উৎপাদনে মনোযোগ দেবে। পরে নতুন কোম্পানির ব্যবসায়িক কাঠামো, উৎপাদন ক্ষমতা এবং কারখানার স্থান নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানিয়েছে গাড়ি নির্মাতারা।
আগস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এ আদেশের ফলে ২০৩০ সালে বিক্রি হওয়া সব নতুন গাড়ির অর্ধেক বৈদ্যুতিক করার লক্ষ্য। মার্কিন বৃহত্তম তিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক বিক্রির ৪০-৫০ শতাংশ বৈদ্যুতিক করতে চায়। একইভাবে টয়োটাও এ সময়ের মধ্যে অর্ধেক গাড়ি বৈদ্যুতিক করার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে।