রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে বণিক বার্তা এবং বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) যৌথ ভাবে আয়োজিত “বাংলাদেশের ৫০ বছরঃ কৃষির রুপান্তর ও অর্জন” শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণী সম্পদে আমরা এখন স্বয়ংসম্পন্ন। একসময় দেশের কোরবাণীর প্রাণীর চাহিদা মিটাতে বিদেশ থেকে প্রাণী আমদানি করতে হতো, আজ চাহিদার বেশি প্রাণী আমরা উৎপাদন করছি। এখন বাংলাদেশ মাংস রপ্তানির চেষ্টা করছে। মৎস্য চাষে পৃথিবীতে বাংলাদেশেল অবস্থান এখন তৃতীয়। দেশে মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটেছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর মাছ রপ্তানি করছে।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার প্রতিটি সেক্টরে স্বয়ং সম্পন্ন হবার জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। পেঁয়াজ উৎপাদনে আমাদের ঘাটতি আছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম উৎপাদন হচ্ছে। ফলে আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে। আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানো চেষ্টা করছি। সারাবছর উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজের নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদিন পেঁয়াজ যাতে নষ্ট না হয় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়, এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষি সেক্টরে বাণিজ্যকরণে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ, ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। খাদ্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উৎপাদনে সফল হয়েছি আমরা। তবে অনেক দেশের তুলনায় এখনও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ আছে। উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নতুন জাত আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। সরকার নীতিগত ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধি করেছে, এ ধরনের সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।