গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। সে হিসাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি আর ১৬৭টি কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যদি যৌক্তিক কারণে কারও দেরি হয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্ব হওয়ার কারণ রেজিস্টার খাতায় লিখে প্রবেশ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখকের সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে। তাদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ৮ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, দাখিলে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশের আটটি দেশে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
সারা দেশে এসএসসির জন্য কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৯টি, দাখিলের জন্য ৭১০টি, ভোকেশনালের জন্য কেন্দ্র রয়েছে ৭৬০টি।
দেখা গেছে, ২০২১ সালে দেশের সাধারণ নয়টি বোর্ডের অধীনে ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৩৪ ৪৩১ জন, মানবিকে ২ লাখ ৯৫৭ জন এবং ব্যবসা শিক্ষায় ১ লাখ ৪০ হাজার ৭১২ জন মিলে মোট ৪ ৭৬ হাজার ১০০ জন পরীক্ষার্থী।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৭ হাজার, ৫৬৮ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৪ জন, যশোরে ১ লাখ ৮১ হাজার ২৮১ জন, চট্টগ্রামে ১ লাখ,৬০ হাজার ৯২৫ জন, বরিশালে ১ লাখ ৪ হাজার, ৯৯০ জন, সিলেটে ১ লাখ ২১ হাজার, ১১১ জন, দিনাজপুরে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪৬ জন এবং ময়মনসিংহে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭০২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।