বিশ্বব্যাংকের বোর্ডসভায় গত মার্চে এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের পর বুধবার ঢাকায় চুক্তি সই হয়েছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সংশ্লিষ্ট সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন ঋণচুক্তিতে সই করেন।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে এই ঋণ পাবে মূলত করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত যুবসমাজ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও বিদেশফেরত ব্যক্তিরা।
বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ আসবে ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সডমেন্ট অফ ইনফরমাল সেক্টর ইম্পলয়মেন্ট’ প্রকল্পের আওতায়। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের যুব সম্প্রদায় এবং বিদেশফেরত অভিবাসী শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনা সংকটে দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে পড়ে। যা কর্মসংস্থানেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে চাকরি হারিয়ে বিদেশ থেকেও অনেকে দেশে ফিরে আসেন। সেই অবস্থা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই কর্মসংস্থান তৈরিতে এ ঋণ দেয়া হচ্ছে।
ঋণের ২০ কোটি ডলারের মধ্যে ১৫ কোটি ডলার বিতরণ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন। ৫ কোটি ডলার খরচ করবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।