বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে আইএমএফ জানায়, ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর এই প্রথম সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থায় বিশ্ব। এবার এশিয়ার প্রবৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করল সংস্থাটি।
আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক চ্যাংইয়ং রি বলেছেন, ‘সরকারগুলোকে এখন অসাধারণ কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন যথারীতি ব্যবসায়ের সময় নয়। এশিয়ার দেশগুলোকে অর্থনৈতিক নীতির সমস্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে।’
আইএমএফ বলছে, নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা, সামাজিক দূরত্ব নীতিমালা এবং অন্যান্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে হবে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শূন্যে নামলে ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে। কারণ, সে সময় প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে নতুন এক করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ বিশ্বজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ১৮৫টি দেশে কোভিড-১৯–এ আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। করোনা মোকাবিলায় বেশির ভাগ দেশে জারি করা হয়েছে লকডাউন। স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।
এর আগে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেন, এই সংকটের কারণে দুই বছরে বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন কমতে পারে ৯ লাখ কোটি ডলার। ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর এই প্রথম উন্নত উন্নয়নশীল সব ক্যাটাগরির দেশই আর্থিক মন্দায় পতিত হচ্ছে।