বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকের সভাপত্বিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে রাজধানীর শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি লটারি আয়োজন করা হবে। টেলিটকের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন করা হবে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ও শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
মাউশির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির অনলাইন ফরম বিক্রি শুরু হবে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন কার্যক্রম চলবে। টেলিটকের মাধ্যমে ভর্তি ফরম বিক্রি, লটারি ও ফল প্রকাশ করা হবে। সরকারি স্কুল ভর্তির লটারি ১৫ ডিসেম্বর ও বেসরকারি স্কুলের ১৯ ডিসেম্বর আয়োজন করা হবে।
জানা গেছে, সরকারি স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি করানো হবে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি করানো যাবে। বেসরকারির ভর্তি ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হবে। অপেক্ষমাণ তালিকা অনুযায়ী ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি করানো হবে।
জানতে চাইলে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে বেসরকারি স্কুলে লটারি আয়োজনকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। যেহেতু এবার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না, তাই কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি আয়োজন করলে কোনো সমস্যা তৈরি হবে না।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যে কোটায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে যোগ্যতা হিসেবে কোনো ধরনের প্রমাণ হিসেবে কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তার ভর্তি বাতিল হবে। সাধারণ কোটাসহ প্রতিটি কোটায় আলাদাভাবে লটারি করা হবে।