করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গেল সেপ্টেম্বরে শুরু হয় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান। আর এ কারণে সাধারণত বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ এই পাবলিক পরীক্ষাও দফায় দফায় পেছানো হয়। এমনকি গত বছরের এইচএসসি’র মতো পরীক্ষা না নিয়েই উত্তীর্ণ করে (অটো পাস) দেওয়াসহ নানা ধরনের প্রস্তাবনাও আসে। অবশেষে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় বেশ কয়েক মাস দেরিতে হলেও পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তবে দীর্ঘদিন শ্রেণি পাঠদান না হওয়ায় এবারের পরীক্ষা হচ্ছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এবছর একজন শিক্ষার্থীকে নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হবে। আবশ্যিক বিষয়ে পরীক্ষা এ বছর হচ্ছে না। সূচিতে প্রকাশিত বিষয়গুলোর মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিনটি করে নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।
পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং বিকালের পরীক্ষা বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন সকালে এসএসসি’র পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) অনুষ্ঠিত হবে। দাখিলের কোরআন মজিদ ও তাজভিদ সকালে এবং বিকালে দাখিলের পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। আর কারিগরির (ভোকেশনাল) পদার্থবিজ্ঞান-২ (সৃজনশীল) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সকালে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এসএসসিতে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, দাখিলে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন এবং ভোকেশনালে ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ১৬৭টি। বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
পরীক্ষার বিশেষ নির্দেশনায় জানানো হয়, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কক্ষে গিয়ে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট। পরীক্ষা শেষে ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
এ দিকে আজ সকালে মতিঝিল বয়েজ স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।