দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিক, খোরশেদ, আইয়ুব, ইমন, দিপু ও জহির। রায় ঘোষণার সময় ইমন ও দিপু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি চার আসামি পলাতক।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় রায়ে ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল বশর বিপলু, আকবর, তারেক, ফয়েজুল্লাহ, আলাউদ্দিন, পিন্টু, রবিন, হায়দার, জাবেদ, জিদান, হাসান, জিয়াউদ্দিন, সাজ্জাদ, ইলিয়াস ও কাকন।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, রাজু হত্যা মামলায় মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ। এরমধ্যে বয়স বিবেচনায় রায়হান নামের এক আসামির শিশু আদালতে বিচার হচ্ছে। বাকি ২১ আসামির বিচারকাজ হয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২১ আসামির মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনসহ আজ মোট ১২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সার্বিক বিষয় আমলে নিয়ে পলাতক চারজনসহ মোট ছয়জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৫ আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উঠে আসা ব্যক্তিদের চেনা সত্ত্বেও মামলার এজাহারে তাদের নাম দেননি বাদী। তারা যদি ঘটনাস্থলে থাকতেন, তাহলে বাদী তাদের দেখতেন এবং মামলায় নাম দিতেন। মূলত আসামিদের দেওয়া জবানবন্দি আদালতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তাই ১৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।