গতকাল সোমবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সের পর রাতে এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিশ্রুতির কথা জানানো হয়।
আসাকাওয়া বলেন, ‘বিশ্বস্ত ও দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এডিবি বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৬০ কোটি ডলার কত দ্রুত দেওয়া যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি, যা সরকারের উদ্যোগগুলো যথাযথ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।’
এদিকে, গতকাল অর্থমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী এডিবির প্রেসিডেন্টের কাছে ৬০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত আরও ১২৫ কোটি ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০,৬২৫ কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে আরও সহায়তা দিতে এডিবি ‘স্ট্যান্ডস রেডি’ বা সদা প্রস্তুত রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুঃসময়ে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে এডিবির সুদৃঢ় ঐতিহ্য রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রেও এডিবি ইতোমধ্যেই ৩৫০,০০০ ডলার অনুদান জরুরিভাবে দিয়েছে, যে অর্থে চিকিৎসাসামগ্রী কেনা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে অর্থমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির প্রেসিডেন্টের আলোচনার ভিত্তিতে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিক অনুরোধ ও বিস্তারিত প্রস্তাব এডিবির কাছে পাঠানো হবে।’
গতকাল রোববার অর্থমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আকস্মিকভাবে এই মহামারি সমগ্র বিশ্বের মানুষের জীবন ও অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, যার শিকার বাংলাদেশও।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তবে দুর্যোগ কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আরও উদ্যোগের ঘোষণা তিনি দেবেন।'
‘এর জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন, যে কারণে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীদের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। সবাই সহায়তার আশ্বাস দিচ্ছেন।’