জানা গেছে, আগের বছরের শেষ কার্যদিবস ডিএসইএক্স পাঁচ হাজার ৪০২.০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। আর ২০২১ সালের শেষ কার্যদিবস সূচকটি ছয় হাজার ৭৫৬.৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বছরটিতে ডিএসইএক্স সর্বোচ্চ সাত হাজার ৩৬৮.০০ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল পাঁচ হাজার ৪৪.৯৯ পয়েন্টে৷ ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সূচকটি চার হাজার ৯০.৪৭ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
ডিএসই শরিয়াহ সূচকটি ১৮৯.০১ পয়েন্ট বা ১৫.২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৩১.১২ পয়েন্টে উন্নীত হয়৷ ২০২০ সালের শেষ কার্যদিবস সূচকটি এক হাজার ২৪২.১১ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। সূচকটি ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ১৬০০.২৬ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ১১৬৬.১৭ পয়েন্ট৷ ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি ৯৪১.২৮ পয়েন্ট নিয়ে এ সূচকের যাত্রা শুরু হয়৷
ডিএসই-৩০ সূচক ২০২১ সালে ৫৬৮ পয়েন্ট বা ২৮.৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার ৫৩২.৫৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়৷ আগের বছরের শেষ কার্যদিবস সূচকটি এক হাজার ৯৬৩.৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ২০২১ সালে সূচকটি সর্বোচ্চ ২৭৮৭.৮২ পয়েন্টে উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ১৯০১.১৩ পয়েন্ট৷ ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ১,৪৭৩.০১ পয়েন্ট নিয়ে এ সূচকের যাএা শুরু হয়৷
এদিকে গত বছরে ডিএসইতে ১৬২.৩০ শতাংশ লেনদেন বেড়ে ৩৫৪,০৫২ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়৷ যা ডিএসই’র ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। আলোচ্য বছরে বাজার মূলধনেও রয়েছে নতুন রেকর্ড।
২০২১ সালে ডিএসইতে মোট ২৪০ কার্যদিবস লেনদেন হয়৷ এতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫৪,০৫২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা৷ অপরদিকে ২০২০ সালে ২০৮ কার্যদিবসে মোট লেনদেনের পরিমান ছিল ১৩৪,৯৮১ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং গড়ে লেনদেনের পরিমান ছিল ৬৪৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা৷ এই হিসাবে ডিএসইতে গতবছরের চেয়ে ২১৯,০৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বা ১৬২.৩০ শতাংশ বেশী লেনদেন হয়েছে। বিদয়ী বছরে ডিএসইতে গড় লেনদেন ছিল ১৪৭৫ কোটি ২২ লাখ টাকা৷
এছাড়া ২০২১ সালে বাজার মূলধন ডিএসই’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে৷ ডিএসই বাজার মূলধন আগের বছরের তুলনায় ৯৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা বা ২০.৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আলোচ্য বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন ৫ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়৷ ২০২১ সালে বাজার মূলধন সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয় এবং সর্বনিম্ন ছিল ৪ লাখ ৪৩ হাজার কোটি৷
এদিকে বিদায়ী বছর ২০২১ সালে দেশে প্রথমবারের মতো একটি সুকুক বন্ডের যাত্রা শুরু হয়। দেশের প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পুঁজিবাজারে গ্রীণ সুকুকের যাত্রা শুরু করে। বেক্সিমকো গ্রীণ সুকুকের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৫ কোটি ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে।
এছাড়াও ৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। কোম্পানিগুলো হলো: প্রিমিয়ার ব্যাংক, আইবিবিএল, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং এআইবিএল।