করোনার প্রভাবে কতটা দুর্বিষহ দিন পার করছেন আইনজীবীরা তা বোঝা যায় ঋণ নেওয়ার অসংখ্য আবেদনে। ঢাকা বারের নেতৃবৃন্দ জানান, এখন পর্যন্ত সাত হাজার ৫১১ জন তালিকাভুক্ত আইনজীবী ঋণের জন্য আবেদন করেছেন। একটি সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে আবেদনগুলো যাচাই- বাছাই শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান তারা।
গত ১৩ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ঋণ দেয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার ছিল আবেদন জমা দেয়ার শেষ সময়।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বেশির ভাগ আইনজীবীদের আয় রোজগার হয় দৈনিক মামলার ভিত্তিতে। আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের আয় নেই।
ইকবাল হোসেন বলেন, আমাদের মনে হয়েছিল হয়তো দেড় থেকে ২ হাজার আবেদন জমা পড়বে। কিন্তু আইনজীবীদের বড় একটা অংশ কতটা দুর্বিষহ দিন পার করছেন তা আবেদনের সংখ্যাতেই বোঝা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়তই আইনজীবীরা ফোন করে ঋণ চাইছেন। অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন। আমরা ভেবেছিলাম অপেক্ষাকৃত নবীন আইনজীবীরা বোধ হয় বেশি কষ্টে আছেন। কিন্তু দেখা গেছে যারা ২০/ ২৫ বছর ধরে আদালতে প্র্যাকটিস করছেন এমন আইনজীবীরাও খুব কষ্টে দিন পার করছেন।
দু একদিনের মধ্যে সমিতির সাবেক ও বর্তমান আইনজীবী নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে জরুরি ভিত্তিতে ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান ইকবাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ৩১ দিনের সাধারণ ছুটি চলায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এশিয়ার বৃহত্তম বার হিসেবে খ্যাত ঢাকা বারে ২৫ হাজারের কিছু বেশি তালিকাভুক্ত আইনজীবী রয়েছেন।