বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ২৪ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ না করলে অনশনে বসবেন।
বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় ২৪ শিক্ষার্থী বুধবার বেলা ৩টা থেকে অনশন শুরু করেন। তাদের এই কর্মসূচিতে সমর্থন দেন আন্দোলনে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরাও।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষে নুসরাত আরেফিন জানান, রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্য যখন আইআইসিটি ভবনে ছিলেন, তখন তিন দফা দাবি নিয়ে তারা কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। কোষাধ্যক্ষ তাদের দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য আইআইসিটি ভবনে যেতে চান। সে সময় পুলিশ বিনা উসকানিতে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরবর্তীতে উপাচার্য তাদের ওপরই হামলার অভিযোগ তোলেন। এ থেকে বিষয়টা স্পষ্ট যে উপাচার্যের নির্দেশেই নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। যিনি শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার নৈতিক ও যৌক্তিক কারণ হারিয়েছেন।
এ কারণে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে তারা আমরণ অনশন করছেন বলে জানিয়েছেন। এই অনশনের কারণে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে এর দায় উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।