বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিআইবি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির সূচক নিয়ে টিআই গতকাল যে তথ্য প্রকাশ করেছে এটি গতানুগতিক ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। টিআইবি একটি এনজিও, বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা ফান্ড সংগ্রহ করে চলে। জাতিসংঘের অ্যাফিলিয়েটেড কোনো সংস্থা নয়। এটিকে আমাদের দেশে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হলেও ভারতসহ অনেক দেশে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি এ ধরনের সংগঠন থাকা ভালো। কিন্তু সেই সংগঠনের কোনো প্রতিবেদন যদি ভুল তথ্য-উপাত্তে হয় কিংবা ফরমায়েসি, উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা গতানুগতিক হয়, সেই সংস্থাটির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। গতকালের রিপোর্টটাও গতানুগতিক, একপেশে।
তবে টিআই’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, টিআইবি দুর্নীতিগ্রস্ত অনেক সংস্থার কাছ থেকেও ফান্ড গ্রহণ করে। তাদেরই একজন কর্মকর্তা, যাকে তাদের ইন্টেগ্রিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে চাকরিচ্যুত করা হলে জনসম্মুখে তিনি সেটি প্রকাশ করেছিলেন।
বিএনপির সময় টিআইবি বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে তিনবার চ্যাম্পিয়ন করে প্রতিবেদন দেয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা এটি নিয়ে বহু বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছে। তখন যে দুর্নীতি হয়েছে সেটির প্রমাণ হয়েছে। আরাফাত রহমান কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এসেছে, এফবিআই এসে বাংলাদেশে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়ে।