ইউক্রেন সীমান্তে মস্কোর প্রায় এক লাখ সৈন্য মোতায়েনের পর বিদ্যমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এমন পদক্ষেপ এলো।
রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে চলমান সঙ্কট গত সপ্তাহে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায়, যখন মার্কিন কর্মকর্তারা ঘোষণা করে যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাশিয়া কিয়েভে হামলা চালাতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানায়, ইউক্রেনের কাছে কিছু সৈন্য তাদের অনুশীলন সম্পন্ন করেছে এবং তাদেরকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ রাশিয়ান নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলীয় মিরিটারি জেলা ইউনিটগুলো তাদের কাজ শেষ করেছে এবং ইতোমধ্যে স্থান ত্যাগ করে সেনাঘাঁটিতে ফিরে যেতে ট্রেন ও সড়কপরিবহনে সওয়ার হয়েছে।’
তবে এটা পরিষ্কার করা হয়নি যে, কতগুলো ইউনিট বা কত সংখ্যক সৈন্য ইউক্রেনকে ঘিরে রেখেছিল। তবে সৈন্য প্রত্যাহারের এটিই রাশিয়ার প্রথম ঘোষণা।
যদি পশ্চিমা কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন যে রাশিয়া সৈন্যসংখ্যা কমিয়ে আনছে, তবে এটা হবে ইউরোপজুড়ে বড় একটি যুদ্ধের ভীতি দূর হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ।
অবশ্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা ফিরিয়ে নেয়ার এই সিদ্ধান্ত সংকট নিরসনে বা চলমান উত্তেজনা কমাতে ঠিক কতটা ভূমিকা রাখবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হামলা করতে পারে বলে আগেই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে ওয়াশিংটনের পশ্চিমা মিত্ররাও।
সূত্র : এএফপি