মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এইচএসবিসি ও টিএমএসএসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। এইচএসবিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে নতুন ধরনের এ ব্যবস্থার আওতায় টিএমএসএসকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই।
এইচএসবিসি জানিয়েছে, সামাজিক ঋণ নীতিমালাভিত্তিক এ অর্থায়ন জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের ঋণবাজার সক্রিয় শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আইনি সংস্থায় কর্মরত অভিজ্ঞ পেশাদারদের নিয়ে সামাজিক ঋণ নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে এ নীতিমালার আওতায় প্রথম অর্থায়ন করেছে এইচএসবিসি। সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এ অর্থায়নের অন্যতম লক্ষ্য।
বগুড়ার একটি হোটেলে মঙ্গলবার রাতে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখার নির্বাহী পরিচালক শেখ মো. সেলিম বলেন, ‘একটি টেকসই অর্থনীতি ও এসডিজি অর্জনে কৃষি, সিএমএসএমই, নারী উদ্যোক্তা ও সবুজ অর্থায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এইচএসবিসির সামাজিক এ ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্রাধিকারের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হোসনে-আরা বেগম বলেন, ‘এইচএসবিসির এ অর্থায়ন দেশের সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘টিএমএসএসের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে প্রথম “সামাজিক ঋণ নীতিমালা”ভিত্তিক অর্থায়নের সূচনা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে আমাদের এ ধরনের উদ্যোগকে সহায়তা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের হোলসেল ব্যাংকিংয়ের প্রধান কেভিন গ্রিন বলেন, পরিবেশগত ও সামাজিকভাবে টেকসই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গ্রাহকদের সঠিক ব্যবসায়িক মডেল গ্রহণে সহায়তা করে এইচএসবিসি। বিশ্বব্যাপী টেকসই পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সেটি করা হয়।